গণঅভ্যুত্থান-২০২৪

আমি প্রকৌশলী সালাহউদ্দিন ২০১৮ থেকে ছাএ আন্দোলনকে রাজনৈতিভাবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে সাংগঠনিক ও ব্যক্তিগতভাবে গন অধিকার পরিষদের সকল ছাএনেতাদের সর্বোচ্ছ অর্থনৈতিক সাপোর্ট, সাংগঠনিক কার্যক্রমের সাপোর্ট, ব্যক্তিগত জীবনে সাপোর্ট করার মাধ্যমে আজ ২০২৪ পর্যন্ত নিয়ে এসেছি। নিজের চাকুরী, পরিবার, স্ত্রী-সন্তানদের সময় না দিয়ে দিন-রাত সংগঠনকে সুসংগঠিত করা এবং বিশ্বের সকল প্রবাসী ভাইদের সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে কাজ করে এসেছি। অতঃপর ২০২৪ এর গনঅভ্যূথ্থানে রেমিট্যান্স শাটডাউন কার্যকর করা, সোস্যাল মিডিয়ায় যৌক্তিক ভয়েজ রাইজ করা এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে দেশ আন্দোলন গড়ে তোলার অভিযোগে অভিযুক্ত করে তৎকালীন পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয় এবং দুবাই এম্বাসী কতৃত আমাকে দেশবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী এবং জঙ্গী অখ্যা দিয়ে দুবাই ইন্ট্রেলিজেন্সের কাছে লিস্ট পাঠিয়ে আমাকে ডিউটিরত অবস্থায় গ্রেপ্তার করে ১২ দিন আন্ডারগ্রাউন্ড জেলে রেখে স্ত্রীসহ দু-সন্তানের একএে দেশে খালি হাতে এক কাপড়ে পাঠিয়ে দেয়।
বর্তমানে আমার বাবা-মা কেওই জীবিত নেই বিধায় আমি গ্রামের বাড়ীতে আমি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বেকার ও মানবেতর জীবন-যাপন করতেছি। উল্লেখ্য যে, ২০২১ সালে মোদী বিরোধী আন্দোলনে দেশে ছুটিতে এসে গ্রেপ্তার হই ও ৫ মাস কারাভোগ করি। তখন আমার বাবা প্রবাস জীবনের তিল তিল করে গড়া ফ্লাট বিক্রি করে আমাকে জাবিনে মুক্ত করে এবং ২০২১ এর করোনাকালীন সময়ে RT PCR Lab আন্দোলন বাস্তবায়ন করে ৭০/৮০ হাজার আটকে পড়া প্রবাসীদের নিয়ে দুবাই নিজ কর্মস্থলে যাই।
এরপর দেশে আমি কোন সেভিংস করতে পারিনি বাবা-মা চিকিৎসা এবং দুবাইতে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বসবাস করার কারনে।
বর্তমানে আমি আমার পরিবার নিয়ে জীবনের সবচেয়ে কঠিন মূহুর্তগুলো পার করছি। আমি দুবাই জেল থেকে দেশে আসার পর সকল ছাএ নেতা ও বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের উপদেস্ঠাদের কাছে আমার লিখিত অভিযোগএ পেশ করাসহ ক্ষতিপূরন-পুনবাসনের দাবিতে কয়েকটি প্রোগ্রামও করি বাট তাতে কোন ফায়দা হয়নি। বরং যাদের বেকারত্ব ও বৈষম্য থেকে মুক্ত করতে আমি আজ বেকার ও বৈষম্যের শিকার তারাও জেগে থেকে ঘুমন্ত মানুষের ন্যায় ভান করছে মাএ।
এমতঅবস্থায়,
আমি NRB সকল মানবিক নেতা-সহযোদ্ধাদের কাছে বিনীত অনুরোধ করছি, আমার ও স্ত্রী-সন্তানদের মানবিক দিকসমূহ বিবেচনা করে এবং আমার এই অন্ধকারাচ্ছন্ন জীবন থেকে পরিএানের স্বার্থে আমাকে সাপোর্ট-সহযোগীতা করে আমার জীবনকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসবেন। আমার দুটি পরিবার থাকায় আমি চোখে-মুখে অন্ধকার দেখি সর্বদা। আমার প্রতি মাসের পারিবারিক খরছ আনুমানিক দেঢ় থেকে দু লক্ষ টাকা এবং গত তিন মাসে পরিবার ও সংসার চালাতে গিয়ে অনেক রীনও করে ফেলেছি।আমাকে এই অন্ধকারাচ্ছন্ন জীবন থেকে পরিএানের জন্য আপনাদের সকলের যথাযত সহযোগীতা কামনা করছি🙏
নিবেদক,
প্রকৌশলী সালাহউদ্দিন
উদ্যোক্তা, প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষক
বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার ঐক্য পরিষদ(BERUC).

Comments

Leave a Reply