আমি মোঃ শামছুল আলম খান মুরাদ।
জন্ম চট্টগ্রামে। এখানেই থাকি।
“NWC Education” নামের একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে বিজনেস ডেভেলমেন্ট ও ব্রাঞ্চ ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত।
অফিস চট্টগ্রাম জিইসি। আমাদের কাজ হচ্ছে উচ্চ শিক্ষার্থে বিদেশে যারা পড়তে যেতে চায়, তাদের সবধরনের সার্ভিস দেওয়া।
আমি “আবাম ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ” নামের একটি মানবকল্যান সংস্থার সভাপতি।
কাজের ফাঁকে অবসর সময়ে কাজ করছি সমাজের এতিম, অবহেলিত, সুবিধাবঞ্চিত দরিদ্র মানুষদের নিয়ে।
আমি গতানুগতিক নই, একটু আলাদা। আমি সমাজের তৃণমূল পর্যায়ের অসহায়, বিপদগ্রস্ত মজলুম মানুষদের খুঁজে বের করতে চেষ্টা করি।
আমি সাধারণত প্রমাণ ছাড়া কারো প্রতি সহানুভূতি দেখাই না।
অনেক সময় সরেজমিনে ভিকটিমদের বাড়ি পর্যন্ত যেতে চেষ্টা করি। যাদের কেউ নেই, যারা প্রকাশ করে না, যারা চাইতে লজ্জা পায় আমি তাদের জন্য বেশি সময় দিই।
আমি তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চাই আর সাথে সাথে আমার ফ্রেন্ড সার্কেলে, বন্ধু শুভানুধ্যায়ীর বরাবরে তুলে ধরি মাত্র।
মানুষের কাছে আমি সহজে হাত না পাতার চেষ্টা করি। লজ্জা লাগে!
তবে কেউ আগে থেকে সিগন্যাল দিয়ে রাখলে তাঁকে নক করি।
আলহামদুলিল্লাহ্, এভাবেই চলছে আমার সমাজকর্ম।
আমি দেশের এতিম ও প্রতিবন্ধী (অসচ্ছল) পরিবারের শিক্ষার্থীদের খাদ্য ও সুশিক্ষা অর্জনে ভূমিকা রাখতে বেশী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।
এজন্য আমি, এতিম ও প্রতিবন্ধী (অসচ্ছল) শিশুদের সারাবছর খাদ্য সরবরাহের চেষ্টা করি। আলহামদুলিল্লাহ! এ প্রকল্পগুলো আমি ২০১৭ সালে শুরু করেছিলাম।
আমি মনে করি এদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত মানুষগুলো যতদিন শতভাগ সুশিক্ষায় শিক্ষিত হবে না ততদিন এদেশের সুদ, ঘুষ, দূর্নীতি, অনিয়ম বন্ধ হবে না। আর তা না হলে দেশ তো সেই বালতির ন্যায় হবে যে বালতির নীচে শত শত ছিদ্র থাকায় পানির ট্যাপ চালু থাকা সত্বেও কখনো বালতি পূর্ণ হবে না।
কিছু দূর্নীতিবাজ, লোভী মানুষের কারণে প্রাণের দেশটি তলাহীন ঝুড়িই থেকে যাচ্ছে। এরা শিক্ষিত বটে, তবে সুশিক্ষিত নয়। এদের ইথিক্যাল পারফরমেন্স শূন্যের কৌটায়।
এতোসব নেতিবাচক পরিস্থিতির মাঝেও নিজেকে হতাশায় নিমজ্জিত করতে মন সায় দেয় না। নিশ্চয় একদিন এদেশের মানুষ শতভাগ সুশিক্ষিত হবে, সচেতন হবে, নিজের অধিকার আদায় করে নিতে শিখবে। ভোগে নয়, ত্যাগের মাঝেই সুখ খুঁজবে। বিলাসিতাকে এড়িয়ে পরস্পর সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে চলবে। সেদিন হয়তো আমি পৃথিবীতে থাকবো না। কিন্তু আমার স্বপ্নরা সেদিন সবুজ বাংলার আকাশে বাতাসে বুক ভরে নিঃশ্বাস নিবে আর মনের আনন্দে হাওয়ায় ঘুরে বেড়াবে।
এমন দেশটির স্বপ্ন কি কখনো,
দেখতে পারি না আমি?
সে দেশটি কখন আসবে তাহা,
জানেন অন্তর্যামী।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.